শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
১১০০ কোটি টাকা সিড মানি চেয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়

১১০০ কোটি টাকা সিড মানি চেয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়

দখিনের খবর ডেক্স ॥ করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ ঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে এসএমই ফাউন্ডেশন ও বিসিকের অনুকূলে মোট ১ হাজার একশ কোটি টাকা সিড মানি হিসেবে বরাদ্দ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।

গত ৩০ এপ্রিল শিল্প মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি চিঠি অর্থ মন্ত্রণালয় বরাবর প্রেরণ করেছে। কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তারা অপেক্ষাকৃত বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে শিল্প মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। চিঠিতে জানানো হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে এসএমই খাতের জন্য ঘোষিত প্যাকেজে ব্যাংকিং ব্যবস্থার আওতাবহির্ভূত অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ সহায়তার জন্য সিড মানি হিসেবে ১ হাজার ১শত কোটি টাকা চেয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। সিড মানি দিয়ে অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশন পাঁচশত কোটি ও বিসিক ছয়শত কোটি টাকার ঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।

প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ৫ এপ্রিল এসএমই খাতের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এ খাতের প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ বিতরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ১৩ এপ্রিল একটি পরিপত্র জারি করে। পরিপত্র অনুযায়ী বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে ইতিপূর্বে ঋণ গ্রহীতারা বিশেষ সুবিধা পাবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এসএমই খাতের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে সহযোগিতা প্রদান, করোনা পরিস্থিতিতে এসএমই খাতের সামগ্রিক বিষয় পর্যবেক্ষণ, করোনাপরবর্তী সময়ে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও কুটির এবং মাঝারি শিল্প খাতের শিল্প উদ্যোক্তা, শ্রমিক এবং সাপ্লাই চেইনের সঙ্গে জড়িতদের মূলধারায় ফিরিয়ে আনা এবং এ খাতসংশ্লিষ্টরা কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করার জন্য ‘এসএমই খাত উজ্জীবন সংক্রান্ত কমিটি’ গঠন করা হয়। ১৬ এপ্রিল গঠিত শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিকে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ ও সুপারিশমালা তৈরির দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

এসএমই খাত উজ্জীবন সংক্রান্ত কমিটিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিসিক, এসএমই ফাউন্ডেশনসহ এসএমই খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট  ট্রেডবডিসমূহ, যেমন: বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি (বিইআইওএ), জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ (নাসিব) ও এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে ২২ এপ্রিল ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ‘এসএমই খাত উজ্জীবন সংক্রান্ত কমিটি’র ১ম সভায় জানানো হয়, বর্তমানে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতে প্রায় ১৫ শতাংশ উদ্যোক্তা বর্তমানে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছেন। অবশিষ্ট ৮৫ শতাংশ উদ্যোক্তা আনুষ্ঠানিক ঋণ কার্যক্রমে জড়িত নন এবং তারা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় আনুষ্ঠানিক হিসাব সংরক্ষণে অভ্যস্ত নন। বাস্তবিকপক্ষে অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও তাদের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বেশি সহযোগিতা প্রয়োজন। ফলে অতিজরুরি ভিত্তিতে সিড মানি সংগ্রহ করে এসএমই ফাউন্ডেশন ও বিসিকের উদ্যোগে বিশেষ ঋণ কর্মসূচি পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে বিশেষ ঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে এসএমই ফাউন্ডেশন ও বিসিকের অনুকূলে মোট ১ হাজার একশ’ কোটি টাকা সিড মানি হিসেবে বরাদ্দ প্রদানের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় ৩০ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি পাঠায়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৯ সালের জরিপ অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ৪৬ হাজার ২৯১টি উৎপাদন ইউনিটের মধ্যে ৮৭ শতাংশই ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প। বর্তমানে দেশের উৎপাদন খাতের ৩৩ শতাংশ উৎপাদন করে থাকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং এ শিল্পের সঙ্গে  ১৩ লক্ষ ৯১ হাজার শ্রমিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত রয়েছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com